খামেনি কি যুদ্ধবিরতি মেনে নিয়েছেন?

খামেনি কি যুদ্ধবিরতি মেনে নিয়েছেন?

ইরানের পরমাণু প্রকল্পের স্থাপনায় মার্কিন বিমান হামলার পরের দিন অর্থাৎ ১৩ জুন ইরান-ইসরায়েলে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানসহ দেশটির কয়েক জন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাও যুদ্ধবিরতির ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন।

তবে এখনও যুদ্ধবিরতি নিয়ে খানিকটা অস্বস্তি রয়ে গেছে, কারণ ইরানের যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি— তাতে দেশটির যে কোনো ইস্যুতে দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত এবং যুদ্ধবিরতির দু’দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত খামেনি এ ইস্যুতে প্রকাশ্যে বা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি।

ফলে এই মুহূর্তে ইরান এবং ইরানের বাইরে সবারই মনোযোগের কেন্দ্রে আছেন খামেনি। সবাই জানতে চাইছেন যে খামেনি আদৌ এই যুদ্ধবিরতি মেনে নিয়েছেন কি না।

প্রসঙ্গত, ‘ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির দোরগোড়ায়’— ইরান পরমাণু বোমা তৈরির দোরগোড়ায়— অভিযোগ তুলে গত ১৩ জুন রাজধানী তেহরান ও অন্যান্য এলাকায় বিমান অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। ইসরায়েলের এ অভিযান শুরুর ৯ দিন পর ২২ জুন মধ্যরাতে ইসরায়েলের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালায় মার্কিন বিমান বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সামরিক কমান্ড এ অভিযানের নাম দিয়েছিল ‘দ্য মিডনাইট হ্যামার’।

‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ পরিচালনার একদিন পর ইরান-ইসরায়েলে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ অভিযানে ইরানের পরমাণু সক্ষমতার মূলে আঘাত হানা হয়েছে এবং দেশটির আর কখনও পরমাণু প্রকল্প পুনরুজ্জীবিত করতে পারবে না।

ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার কয়েক ঘণ্টা পর তা মেনে নিয়ে বিবৃতি দেন পেজেশকিয়ান। তিনি বলেন, ইরান যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে এবং ইসরায়েল পুনরায় হামলা না করলে তেহরান আর সংঘাতে যাবে না।

কিন্তু খামেনি এখনও নীরব আছেন। কোনো বিবৃতি-ভিডিওবার্তা তো নয়ই, এমনকি নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টেও এ ব্যাপারে তার কোনো প্রতিক্রিয়া বা কথাবার্তা নেই।

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতাকে সর্বশেষ টেলিভিশনে ভাষন দিতে দেখা গিয়েছিল গত ১৮ জুন। সেদিন যে ভাষণ তিনি দিয়েছিলেন, সেটি আরও আগে ধারণ করা হয়েছিল।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানকে ‘নিঃশর্ত’ আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছিলেন। গত ১৮ জুনের ভাষণে সেই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছিলেন খামেনি।

পোষ্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2023 tulshigonga24.com privacy-policy Contact Us About Us
Design BY NewsTheme